শারমিন আকতার:
আয় বৃষ্টি ঝেপে ধান দেব মেপে’ আসলেই কি তাই? বৃষ্টি আসুক তা কি চাই? আর এলেই কি তাকে ধান মেপে দিতে পারবো? গতরাত থেকে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ রাত গড়িয়ে সকাল পেরোবার সময় হয়ে এল এখনও সেই বৃষ্টি। কখনও ঝমঝম, কখনও ছমছম শব্দে হয়েই চলেছে। তাই বলে কি নাগরিক জীবন থেমে থাকবে?
ব্যস্ত শহরে ঝড়-ঝঞ্ঝা সব পেরিয়ে কাজতো করতেই হয়। তাই এ রসিক বৃষ্টির মিষ্টতা কবির কাছে যতটা বাস্তব ব্যস্ততার কাছে ঠিক তার উল্টো আমেজ। কেউ শহুরে বারান্দার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে। মন খারাপ, ভীষণ রকমের। আজ যে তার ঘুরে বেড়াবার কথা ছিল। তা সে বৃষ্টির দিকে তাকায় আরেকবার আকাশের দিকে তাকায়; এই করে করে বলতে থাকে, ‘বৃষ্টি প্লিজ তুমি আজকের মতো থামো। আমাকে বাইরে যেতে হবে। প্লিজ…’ । বৃষ্টি কি এ নাগরিকের কথা শোনে? সে তার আপন মনে ঝরেই চলেছে অবিরাম।
কথা ছিল সময়টা বসন্ত দাপিয়ে বেড়াবে, সাথে কোকিলও থাকবে। তাতো হলোই না কোথা থেকে কোন উটকো বৃষ্টি এসে সব মাটি করে দিল। এই থামছি বলে একবার আবছা রোদেলা ভাব দেখি; অমনি সব মিছে করে দিয়ে আবার সেই বৃষ্টি।
বৃষ্টি তুমি যেমনে পারো ঝরো। ইচ্ছে হলে বাতাস হয়ে ঝরো ইচ্ছে করে আকাশ হয়ে ঝরো। তোমার তান্ডব দেখে কেউ নাচে ময়ূরের মতো করে; আবার কেউ হয়ে যায় জড়োসড়ো। তোমার ঝড়ে কারো জীবন হয় এলোমেলো আবার কারো মন হয় অগোছালো। বৃষ্টি তুমি তবু ঝড়ো। আমার মনের মতো করে ঝরো।